অধ্যাপক
গোলাম আযমের হাসি পাচ্ছে। এ বয়সে হাসলে সমস্যা দুই প্রকার। মিডিয়া তার
নড়বরে দাঁত দেখে ফেলবে এবং নব্বই বছরের কারাদন্ড যে ইতরামি তা সবাই বুঝে
ফেলবে। তার প্রিয় কাজ হলো দুই আঙ্গুল তুলে "V" চিহ্ন দেখানো। এই চিহ্নটার
সাথে চিমটার মিল আছে। চিমটা দিয়ে পাকা চুল বাছা যায়। তার বেশিরভাগ চুল
পাকা। চিমটা এখন অন্য কাজে লাগবে। দেশ থেকে বেশকিছু জিনিস তুলে ফেলা দরকার।
তার পাশে এক বদ পুলিশ অফিসার বসে আছে। রোজা রমযানের দিন ব্যাটার মুখ থেকে সিগারেটের গন্ধ বের হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকলে চোখ মেলে তাকালেই চাকরি ডিসমিস হয়ে যেত। ব্যাটাকে বাকী জীবন বিড়ি খেয়ে কাটাতে হত। জিনিসের লিস্টে পুলিশ অফিসারের নামটা তুলে নিলেন গোলাম আযম।
মিয়া তোমার নাম কী?
-ফরিদ।
নামের আগে পরে কিছু নাই?
-মোহাম্মদ ফরিদ উল আলম।
সুবহানাল্লাহ। মোহাম্মদ বলতে কী কষ্ট হয় নাকি?
-জি না।
মোহাম্মদ বলবা। রোজা রাখছ?
-জি না।
আস্তাগফিরুল্লাহ! কেন রাখোনাই?
-ডিউটিতে প্রবলেম হয়।
ফাও কথা রাখ। কীসের এত ডিউটি তোমাগো?
-আজ হরতাল ডিউটি, সারাদিন ছোটাছুটি।
হরতাল ভাল জিনিস। তাছাড়া আজকের ইস্যুটা ভাল।
-জি।
জি জি করবানা। তোমার কী মনে হয় হরতাল ভুল?
-হরতাল ভুল। হরতালে মানুষের সমস্যা।
মানুষের সমস্যা নিয়া ভাবলে কী আর দেশ চলবে। এত ভাববানা। তোমার কাজ তুমি করবা।
-জি।
রায়ে তুমি খুশি না?
-জি না।
কী রায় হইলে খুশি হইতা?
-আপনাকে বিনাশর্তে মুক্তি দিলে।
পুলিশ অফিসারের মুখ দেখে মনে হচ্ছেনা মুক্তি দিলে সে খুশি হত। গোলাম আযম মিথ্যা বলা পছন্দ করেন না। তবে এই মিথ্যাটা তার ভাল লেগেছে। পুলিশ হল হুকুমের গোলাম। এরা বুঝে গেছে ক্ষমতার হাতবদল হলে তিনি অবশ্যই মুক্ত হবেন। তাই আগেভাগে মুক্তির কথা বলে চাকরি বাঁচাতে চায়। গোলাম আযম ফরিদকে জিনিসের লিস্ট থেকে তুলে নিলেন। বিশেষ দিনে ক্ষমা করার মাঝে আনন্দ আছে।
ফরিদের বাবা একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। বাবার ধারণা ছিল যুদ্ধের পর দেশটা সুন্দর হবে। সুন্দর দেশে ছেলেমেয়ের সাথে হাঁটাহাঁটি করবেন। এখন তার হাঁটার ক্ষমতা নেই, দেশ সুন্দর করারও ক্ষমতা নেই। দেশজুড়ে এখনও ধর্ম নিয়ে ব্যবসা হয়। সেই ব্যবসার সবচেয়ে শীর্ষে আছেন যুদ্ধাপরাধীরা। পলিটিকস, চাকরি, আইনের কারণে ফরিদকে এখন একজন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে প্রটেকশন দিতে হচ্ছে।
ফরিদ আকাশের দিকে তাকায়। বিস্তারিত আকাশ। বিস্তারিত আকাশের উপরে আল্লাহ থাকেন। আল্লাহ তাকে কোন বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পাঠায়নি। বিশেষ ক্ষমতা থাকলে কোমরে গুঁজে রাখা সরকারী রিভলবারটা বেশ দরকারি এক বেসরকারী কাজে লাগানো যেত।
এই নিষ্ঠুর বৃদ্ধের মৃত্যুতে বহু পুরাতন পৃথিবী যদি একবিন্দু অশ্রু বিসর্জন দিত তবে সেই অশ্রুবিন্দু শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে সারা শরীরে মাখিয়ে নিত ফরিদ।।
তার পাশে এক বদ পুলিশ অফিসার বসে আছে। রোজা রমযানের দিন ব্যাটার মুখ থেকে সিগারেটের গন্ধ বের হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকলে চোখ মেলে তাকালেই চাকরি ডিসমিস হয়ে যেত। ব্যাটাকে বাকী জীবন বিড়ি খেয়ে কাটাতে হত। জিনিসের লিস্টে পুলিশ অফিসারের নামটা তুলে নিলেন গোলাম আযম।
মিয়া তোমার নাম কী?
-ফরিদ।
নামের আগে পরে কিছু নাই?
-মোহাম্মদ ফরিদ উল আলম।
সুবহানাল্লাহ। মোহাম্মদ বলতে কী কষ্ট হয় নাকি?
-জি না।
মোহাম্মদ বলবা। রোজা রাখছ?
-জি না।
আস্তাগফিরুল্লাহ! কেন রাখোনাই?
-ডিউটিতে প্রবলেম হয়।
ফাও কথা রাখ। কীসের এত ডিউটি তোমাগো?
-আজ হরতাল ডিউটি, সারাদিন ছোটাছুটি।
হরতাল ভাল জিনিস। তাছাড়া আজকের ইস্যুটা ভাল।
-জি।
জি জি করবানা। তোমার কী মনে হয় হরতাল ভুল?
-হরতাল ভুল। হরতালে মানুষের সমস্যা।
মানুষের সমস্যা নিয়া ভাবলে কী আর দেশ চলবে। এত ভাববানা। তোমার কাজ তুমি করবা।
-জি।
রায়ে তুমি খুশি না?
-জি না।
কী রায় হইলে খুশি হইতা?
-আপনাকে বিনাশর্তে মুক্তি দিলে।
পুলিশ অফিসারের মুখ দেখে মনে হচ্ছেনা মুক্তি দিলে সে খুশি হত। গোলাম আযম মিথ্যা বলা পছন্দ করেন না। তবে এই মিথ্যাটা তার ভাল লেগেছে। পুলিশ হল হুকুমের গোলাম। এরা বুঝে গেছে ক্ষমতার হাতবদল হলে তিনি অবশ্যই মুক্ত হবেন। তাই আগেভাগে মুক্তির কথা বলে চাকরি বাঁচাতে চায়। গোলাম আযম ফরিদকে জিনিসের লিস্ট থেকে তুলে নিলেন। বিশেষ দিনে ক্ষমা করার মাঝে আনন্দ আছে।
ফরিদের বাবা একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। বাবার ধারণা ছিল যুদ্ধের পর দেশটা সুন্দর হবে। সুন্দর দেশে ছেলেমেয়ের সাথে হাঁটাহাঁটি করবেন। এখন তার হাঁটার ক্ষমতা নেই, দেশ সুন্দর করারও ক্ষমতা নেই। দেশজুড়ে এখনও ধর্ম নিয়ে ব্যবসা হয়। সেই ব্যবসার সবচেয়ে শীর্ষে আছেন যুদ্ধাপরাধীরা। পলিটিকস, চাকরি, আইনের কারণে ফরিদকে এখন একজন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে প্রটেকশন দিতে হচ্ছে।
ফরিদ আকাশের দিকে তাকায়। বিস্তারিত আকাশ। বিস্তারিত আকাশের উপরে আল্লাহ থাকেন। আল্লাহ তাকে কোন বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পাঠায়নি। বিশেষ ক্ষমতা থাকলে কোমরে গুঁজে রাখা সরকারী রিভলবারটা বেশ দরকারি এক বেসরকারী কাজে লাগানো যেত।
এই নিষ্ঠুর বৃদ্ধের মৃত্যুতে বহু পুরাতন পৃথিবী যদি একবিন্দু অশ্রু বিসর্জন দিত তবে সেই অশ্রুবিন্দু শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে সারা শরীরে মাখিয়ে নিত ফরিদ।।
No comments:
Post a Comment